পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু পদ্মা সেতু বিশ্বের মধ্যে ১২২ তম অবস্থান করছে। তবে আমাদের পদ্মা সেতু সুইডেনের অল্যান্ড ব্রিজকে পেছনে ফেলে ১২২ তম অবস্থান নিয়েছে।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একই সঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেন বিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের জিডিপি বছরে ১.২ থেকে ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন ২০২২ বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন।
যেহেতু পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি দীর্ঘতম সেতু পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য জানা প্রয়োজন। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার (পানির উপরের অংশ)। আর যদি সমস্যা হয় তাহলে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার।
পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা নদী অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ৪১ টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর এই স্পেন গুলোর প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ৬.১৫০ মিটার এবং ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু পদ্মা সেতু a to z পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্মাণের ইতিহাস
১৯৯৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ও দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ৩,৬৪৩.৫০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮.১০ মিটার চওড়া এই সেতুটিকে দেশের সম্ভাব্য দীর্ঘতম সেতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করার এবং ২০০৪ সালের জুনে শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবিত পরিমাণ ২৬৯৩.৫০ কোটি টাকা বিদেশী উৎস থেকে এবং ৭৫০ কোটি টাকা জাতীয় উৎস থেকে জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
2 Comments
Nice
ReplyDeleteVery good news site
ReplyDelete