Advertisement

কলা খাওয়ার উপকারিতা, কলা খাওয়ার নিয়ম, বেশি কলা খেলে কি হয়


 সবচেয়ে সহজলভ্য খাদ্যের একটি হল কলা এটি যেমন সহজে পাওয়া যায় তেমনি ক্যালরির চাহিদাও পূরণ করে এটি। এই খাদ্য অতি সহজেই পাওয়া যায় এবং দাম ও নাগালের মধ্যেই থাকে।ক্যালরি ছাড়াও এতে আরও পুষ্টি উপাদান থাকে। যেমন ভিটামিন আয়রন খনিজ পদার্থ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে এতে এসকল উপাদান একজন মানুষের দেহের জন্য খুবই উপকারী এই ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ধারণা।

দামে কম কিন্তু মানের দিকে সেরা একটি খাবার হলো কলা এটি খেতেও দারুণ অনেকের প্রিয় খাবার হলো কলা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল কলা।

কলা মিষ্টি বলে ভাববেননা এটি খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে কলার জিআই ভ্যালু খুবই কম তাই ডায়াবেটিস এর রোগীরাও নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন। এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দুবল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় অনেকেই চিন্তায় পড়ে যায় যে কী ফল দেওয়া যাবে এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কলা। পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা একটি কলায় থাকে ৩গ্রাম ফাইভার যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।

কলায় আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম দেহের পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন একটি কলা খাওয়া উপকারী কলা একটি মিষ্টি ফল তবে মিষ্টি হলেও সুগার বাড়ায় না এই ফল এই ফলে পটাশিয়াম এর পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম আর এই দুই উপাদানই দেহের হাড়কে শক্ত করে।

এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে ছোট বাচ্চাদের নতুন নতুন শক্ত খাবার খাওয়ানোর সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফল হিসেবে কলা খাওয়ানো যেতে পারে।

কলা পেট পরিষ্কার রাখে পাশাপাশি হজমশক্তি ও বাড়ায় এতে থাকা ফাইবার এই কাজে সাহায্য করে। ডায়রিয়া ও পেটের নানা সমস্যা দূরীকরণে উপকারী ও কাযকর খাবার হলো কলা। দিনের যে কোন সময় কলা খাওয়া যায় বিশেষত সকালে কলা খেলে কেলে আরও বেশি ভালো। 

কারণ এতে সারাদিন কাজ করার শক্তি বাড়ে সকালে খালি পেটে এই ফল খাওয়া উচিৎ নয় কলার পটাশিয়াম এমনকি কিডনি ও ভালে রাখে ইউরিনে ক্যালসিয়াম জমা হতে বাধা দেয় বলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্বাবনা কমে যায় তাই প্রতিদিন আমাদের কলা খাওয়া দরকার।

Post a Comment

0 Comments