শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ডিম খেতে ভালোবাসে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনাভাইরাসের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।
শরীর দুর্বল হলে সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
নিয়মিত ডিম খাওয়া স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খুবই উপকারী। ডিম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিনের ভালো উৎস
ডিম প্রোটিনের উৎস
প্রোটিন আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ। ডিমের প্রোটিন আমাদের হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে। ডিমের প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতকে সুস্থ রাখে।
শরীরে শক্তি জোগায়
আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সঞ্চালনের জন্য শক্তি প্রয়োজন। সকালে একটি ডিম আপনাকে সারাদিন শক্তি দেবে। ডিমে থাকা বি ভিটামিন আমাদের খাবারকে শক্তিতে পরিণত করে।
চোখের সমস্যা সমাধান করে।
আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল আমাদের চোখ। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ। ডিমে থাকা ক্যারোটিনয়েড এবং লুটেইন বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার একটি মারণ রোগ। ডিমে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বক ও কোষের ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি নতুন কোষ গঠনেও সাহায্য করে। বয়ঃসন্ধিকালে নিয়মিত ডিম খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
পেশী ব্যথা কমায়
আমাদের বাহু এবং পায়ের পেশী বিভিন্ন কারণে সময়ে সময়ে ব্যথা করে। ডিম খেলে মাংসপেশির ব্যথা কমে। এজন্য ডাক্তাররা প্রশিক্ষণের পরে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
হার্ট সুস্থ রাখে
আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। ডিম হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং সারা শরীরে সঠিক রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল এবং ভাল কোলেস্টেরল। ডিম খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
ডিম কোলিনের উৎস
কোলিন আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে কোলিনের অভাবে লিভারের সমস্যা হয়। একটি ডিমে প্রায় 300-350 গ্রাম কোলিন থাকে। তাই ডিম লিভার, স্নায়ু ও যকৃতের জন্য ভালো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডিম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ডিমে থাকা জিঙ্ক আমাদের শরীরের কমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সর্দি, কাশি, জ্বরসহ নানা রোগ থেকে বাঁচতে ডিম খাওয়া উচিত।
3 Comments
খুব সুন্দর একটা পোস্ট
ReplyDeleteধন্যবাদ স্যার সুন্দর ভাবে বুজিয়ে বলার জন্যে
ReplyDeleteThis is wonderful post
ReplyDelete