বাড়ছে মশার উপদ্রব। এটি আকারে খুবই ছোট হলেও এই পোকার যন্ত্রণায় অনেকেরই রাতের ঘুম হতে বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া দিনেও তার যন্ত্রণা থেকে রেহাই নেই। তবে একটি থাকা এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কিন্তু উপদ্রব অভিযান ছাড়াও, মশা বিভিন্ন সংক্রামক রোগজীবাণু বহন করে। যা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যে স্থানে মশা কামড়ায় সেখানে কিছুক্ষণ বরফ লাগাতে পারলে সহজে আরাম পাওয়া যায়। এটি ফোলা জায়গাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
জলের সাথে সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার একটি তুলোর বলের সাহায্যে যে জায়গায় চুলকানি হয় সেখানে কয়েক মিনিট ঘষুন। কিছুক্ষণ পর সমস্যার সমাধান হবে।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে মশার কামড়ের কারণে অস্বস্তি বোধ করলে 2 কাপ ভিনেগার মিশিয়ে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। এতে চুলকানি কমে যায়।
যেখানে মশা কামড়ায় সেখানে টফু পেস্ট লাগান। মুহূর্তের মধ্যে জায়গাটা অনেক ভালো হয়ে যাবে।
অংশটি ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে তাতে মধু লাগান, তবে চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফলে নখ আঁচড়ানো সম্ভব না হলেও সহজেই কমানো যায়।
পুদিনা পাতার ব্যবহার
পুদিনা পাতা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। উপকারী এই পাতা আমাদের হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এটি মশা তাড়াতেও বেশ কার্যকর। একটি গ্লাসে কিছু জল নিয়ে তাতে কিছু পুদিনা গাছ রেখে ডাইনিং টেবিলে রাখুন। পরপর তিন দিন পানি পরিবর্তন করুন। বায়োরিসোর্স টেকনোলজি জার্নালের গবেষণা বলছে, পুদিনা পাতা মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। মশা ছাড়াও আরও অনেক পোকামাকড় পুদিনার গন্ধ থেকে দূরে থাকে। পুদিনা পাতা সিদ্ধ করে সেই জলের গন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন। এতেও মশা পালাবে।
হলুদ আলো
আমরা জানি যে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় আছে যারা আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু জানেন কি ঘরে হলুদ আলো মশার উপদ্রব কমায়? আপনি হালকা বাল্বের চারপাশে হলুদ সেলোফেন মোড়ানো করতে পারেন। হালকা রং হবে হলুদ। আর এই হলুদ আলোর কারণে মশা দূরে থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই রঙের আলো জ্বালালে মশা থেকে মুক্তি পাবেন।
চা পাতার ব্যবহার
চা পাতার উপকারিতা কি? প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে ভাবছেন, চা তৈরিতে চা পাতা ব্যবহার করা হয় কিনা। তবে চা তৈরির পাশাপাশি চা পাতার আরও অনেক উপকারী ব্যবহার রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মশার উপদ্রব কমানো। তাই চা পাতা ব্যবহার না করে শুধুমাত্র রোদে শুকাতে হবে। শুকিয়ে নিন যাতে পানি না থাকে। তাহলে এই চা পাতা ধূপ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো চা পাতা জ্বাল দিলে দ্রুত ঘরের সব মশা ও মাছি থেকে মুক্তি মিলবে।
লেবু ও লবঙ্গ মশা তাড়াবে
এই সহজ প্রতিকার অনেকের কাছেই অজানা। প্রথমে একটি বড় লেবু নিন এবং দুই ভাগে কেটে নিন। ভিতরে প্রচুর লবঙ্গ তৈরি করুন। শুধু লবঙ্গ ফুলের কিছু অংশ বাকি থাকবে। বাকিটা লেবুতে ঢেলে দিন। এবার ঘরের এক কোণে একটি পরিষ্কার পাত্রে লেবুর টুকরা রাখুন। এটি সহজেই মশার উপদ্রব এড়াতে পারে। লেবু এবং লবঙ্গও জানালার গ্রিলে রেখে দেওয়া যেতে পারে। এতে মশার প্রবেশ রোধ হবে।
ফুল স্পিডে ফ্যান চালু
করুন মশা খুবই হালকা পোকা। তাই বাড়ির সিলিং ফ্যান ফুল স্পিডে রেখে দিলে মশা কাছে যেতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই, পাখা ঘোরানোর গতি মশার উড়ার গতির চেয়ে বেশি। এইভাবে, মশা সহজেই ফ্যানের ব্লেড দিয়ে চলে যায়। মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে ফ্যান ফুল স্পিডে ছেড়ে দিন।
কর্পূর ও রসুনের ব্যবহার
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একটি ছোট পাত্রে 50 গ্রাম কর্পূরের বড়ি রাখুন এবং বাটিতে ঢেলে দিন। তারপর ঘরের কোণে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে মশা চলে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করুন। এছাড়াও, রসুন স্প্রে একটি খুব কার্যকর প্রাকৃতিক মশা তাড়াক। ১ ভাগ রসুনের রস ৫ ভাগ পানিতে মিশিয়ে নিন। বোতলে মিশ্রণটি পূর্ণ করুন এবং শরীরের যেসব স্থানে মশা কামড়াতে পারে সেখানে স্প্রে করুন। এটি যেকোনো রক্তচোষাকে আপনার প্রান্তের কাছাকাছি যেতে বাধা দেবে।
2 Comments
Tips Deoyar Jonno Onek Dhonnobad.
ReplyDeleteonek Kichu Jante Parlam
Nice Tips Thanks
ReplyDelete