Advertisement

কি খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়,অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান,কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়,চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক,চুল পড়ার ওষুধ


 আজকাল চুল পড়ার সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়েরই দেখা যায়। প্রাকৃতিক পরিবর্তন, জলবায়ু ও আধুনিকতা এগুলোর জন্য প্রধানত দায়ী। কিন্তু চুল পড়ার কিছু প্রাকৃতিক কারণ থাকলেও কিছু শারীরিক সমস্যাও এর কারণ হতে পারে: যেমন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড গ্রন্থি, শরীরে পুষ্টির অভাব বা মাথার সঠিক রক্ত ​​সঞ্চালন: চুল পড়া কখনো কখনো অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, সমস্যা যেমন, টাক পড়া: অতিরিক্ত চুল পড়া পুরুষদের টাক হয়ে যায়, চুলের দৈর্ঘ্য পাতলা হয়ে যায় বা মহিলাদের টাক পড়ে: তবে চুল পড়ার সমস্যা শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, এটি শিশুদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়। দিনে 50 থেকে 100টি চুল পড়া স্বাভাবিক: কিন্তু এর পরিমাণ বেড়ে গেলে চুল পড়ার সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি বালিশে বা গোসলের তোয়ালে প্রধানত অতিরিক্ত চুল পরিলক্ষিত হয়, তবে চুলের যত্নে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং যদি পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যায় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ চুল পড়া শুধুমাত্র বাহ্যিক কারণেই নয়, অন্তর্নিহিত কারণেও হয়: এক নজরে চুল পড়ার কারণগুলি খুঁজে বের করুন এবং আপনার কোন সমস্যা আছে তা নির্ধারণ করুন।

দিনে দিনে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে, টাক পড়ছে- এমন কথা অনেকের মুখেই শোনা যায়। চুল পড়া, চুল পড়া বা পাতলা চুল নিয়ে আর চিন্তা করবেন না। শিশুরা সবাই শিকার। কেরাটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে চুল তৈরি হয়। চুলে 97% প্রোটিন এবং 3% জল থাকে। আমরা যে চুল দেখি তা হল মৃত কোষ। কারণ এতে কোনো সংবেদী কোষ নেই। প্রতি মাসে চুল আধা সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। সাধারণত দুই থেকে চার বছর চুল গজায়। তারপর বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গরমে চুল দ্রুত বাড়ে, তবে শীতকালে কম। চুলের গড় আয়ু দুই থেকে আট বছর। তাই প্রতিদিন কিছু চুল স্বাভাবিকভাবেই পড়ে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রাশেদ মো. খানের মতে, চুল পড়া সাধারণত খুশকি, অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন, দুশ্চিন্তা এবং চুলে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে।

বেশিরভাগ মহিলারা তাদের চুল সোজা বা কার্ল করার জন্য খুব বেশি তাপ ব্যবহার করেন। এছাড়াও, প্রতিদিনের তাপ চিকিত্সার কারণে চুলের কেরাটিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়।

চুল খুব শক্ত করে বেঁধে রাখলে লোমকূপের ক্ষতি হয়। ফলে চুল পড়তে পারে। কখনও কখনও এটি অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটাও হতে পারে, একটি সমস্যা যেখানে নতুন চুল গজায় না। তাই চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।

অনেকেই মাথার ত্বকে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও গরম পানি ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো একেবারেই ভুল কাজ। আপনার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে আপনার মাথার ত্বকে সর্বদা ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত শ্যাম্পুও চুলের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল তৈরি হয়, যা চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়।

চুল পড়ার অন্যতম কারণ বংশগতি। যদি কোনো পুরুষ বা মহিলার একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায় এবং তা ধীরে ধীরে তাদের পরিবারে লক্ষ্য করা যায়, তবে এটি একটি বংশগত রোগ হিসাবে বিবেচিত হয়।

 অনেক সময় মহিলারা প্রসবের পরে চুল পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্যা খুব বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

 চুল পড়ার সমস্যার কিছু শারীরিক সমস্যা ও কারণ রয়েছে। যেমন কোনো অসুস্থতা বা অস্ত্রোপচারের পর চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে, চুলের বৃদ্ধি চুল পড়ার পরিমাণের সাথে মেলে না। কিন্তু শরীর সুস্থ হয়ে উঠলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

 শরীরে হঠাৎ করে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুলের বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিকভাবে, গর্ভাবস্থা, প্রসব বা মেনোপজ বা অনেক বেশি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণের পরে চুলের বৃদ্ধি ঘটতে পারে।

 থাইরয়েড, অ্যালোপেসিয়া বা স্কাল্পের মতো রোগ থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। মূলত, মাথার ত্বকে সংক্রমিত হলেই এই সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায়।

 ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত, হার্টের সমস্যা বা মানসিক চাপের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে যেকোনো ওষুধ সেবন করলেও চুল পড়তে পারে।

 অতিরিক্ত চিন্তা বা হঠাৎ মানসিক আঘাত বা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তবে এসব ক্ষেত্রে শুধু মাথার ত্বকের চুল পড়ার সমস্যাই বাড়ে না, বরং ভ্রু, চোখের পাতা, শরীরের লোম প্রভৃতি শরীরের সর্বত্রই চুল পাতলা হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হল চুলের ফলিকলের অপুষ্টি, যার ফলে চুল ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যায়।

চুল পড়ার সমস্যা যখন অনেকাংশে বেড়ে যায় তখন আমরা বেশ কিছু লক্ষণ দেখতে পাই। সুতরাং, এটি একটি সাধারণ বিষয় নয় বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে হাইলাইট করা উচিত। এক নজরে জেনে নিন আপনার এই উপসর্গগুলো আছে কিনা।

 মাথার সামনের অংশ এবং মাথার লোমশ অংশে চুলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। মাথার পেছন থেকে চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনি দিয়ে এই অংশের তালু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মাথার ত্বকে কিছু সমস্যা আছে, যেমন কালো দাগ বা মাথার মাঝখানে একটি রিজ।

 চুল পড়ার পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে।

 মাথার ত্বকের চুল ছাড়াও ভ্রু বা চোখের পাতায় চুল পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং খুশকির সমস্যা।

Post a Comment

0 Comments