Advertisement

প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা,কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা,গাজর খাওয়ার সময়,গাজর খেলে কি ওজন বাড়ে


গাজর অত্যন্ত জনপ্রিয় সবজি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লাল, সাদা, হলদে নানা বর্ণের গাজর দেখা যায়। আমাদের দেশে জন্মে কমলা রঙের গাজর। এটা শীতকালীন সবজি। গাজর দেখতে যেমন সুন্দর ও আকর্ষণীয় তেমনি খেতেও সুস্বাদু। তদুপরি পুষ্টিতেও ভরপুর। এত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হওয়ার বড় কারণ এর মধ্যে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন। গাজর নিজে যেমন সুন্দর তেমনি মানুষের রঙ উজ্জ্বল করতেও এটি সহায়ক।

 গাজর "পাওয়ারহাউস" খাদ্য উপাদান হিসাবে পরিচিত। কারণ গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। বাইরের ভিটামিনের কথা ভুলে যান। কমলা গাজর খান। গাজরে শুধু ভিটামিন এ থাকে না, গাজরের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। এটি আপনাকে সুন্দর ত্বক থেকে শুরু করে ক্যান্সার সুরক্ষা সবই দেবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক গাজর থেকে আপনি কী কী উপকার পান।

 গাজর খেতে ভালো না লাগলে বলছি গাজরের গুণাগুণ জানার পর গাজরের প্রেমে পড়ে যাবেন। কারণ গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হবে। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা আমাদের লিভারে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। তারপরে এটি চোখের রেটিনায় পৌঁছায় এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, অন্যদিকে গাজর এক ধরনের বেগুনি রঙ্গক যোগ করে ভালো দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে যা রাতের অন্ধকারেও চোখের জন্য ভালোভাবে দেখার জন্য প্রয়োজনীয়। 

গাজরের পুষ্টিগুণ নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও কাঁচা বা রান্না করা গাজর বেশি পুষ্টিকর তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

নিউট্রিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কাঁচা ও রান্না করা গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা ক্যারোটিনয়েড নামেও পরিচিত। রান্না করার সময় এটি শরীর দ্বারা আরও ভালভাবে শোষিত হয়।

এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এটি পরামর্শ দেয় যে গাজর ফুটানো এবং বাষ্প করা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যারোটিনয়েড সংরক্ষণ করে।.

গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে।এই ভিটামিন এ এর ​​অভাবে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীরের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়, শারীরবৃত্তীয় ক্ষমতা হ্রাস পায়। খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে, ত্বক খসখসে হয়ে যায়, চর্মরোগ হয়।

গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়। শরীরে শক্তি স্থানান্তরিত হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।

বাচ্চারা সপ্তাহে ৩ দিন গাজরের জুস খেলে দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা হয় না। আর দুধ ঠিকমতো হজম হয়।

গাজর অর্শ, আমাশয়, পিত্ত রোগের ক্ষেত্রে উপকারী। গাজরের রস মস্তিষ্কের জন্য ভালো।

গাজর খাওয়া শরীরের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

 গাজর খাওয়ার ৬ মাস পর রং আরও সুন্দর হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে, কারণ গাজরে রয়েছে রক্ত ​​বিশুদ্ধ করার ক্ষমতা।

 গাজরের বীজ পানিতে মিশিয়ে টানা ৫ দিন পান করলে মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়।

 গাজর রান্না করে মুরগি বানিয়ে ৭ দিন রাখলে ক্ষত, ফোড়া ও সব ধরনের বাজে ক্ষত সেরে যায়।

উচ্চ তাপে রান্না করলে শাকসবজি তাদের পুষ্টিগুণ হারায়। যদিও এটি সত্য, গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিনের ক্ষেত্রে এটি সত্য নয়। গাজর রান্না করা হলে এর ক্যারোটিনয়েড এবং বিটা ক্যারোটিন বেশি উপকারী।

বিটা-ক্যারোটিন একটি প্রোভিটামিন যা পরে শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, হার্টের স্বাস্থ্য এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে।

গাজর নরম হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করুন। বিটা-ক্যারোটিন চর্বি-দ্রবণীয়, যা উচ্চ তাপেও ভেঙে যায় না। গাজর রান্না করলে নরম হয়ে যায়, যা হজমে সাহায্য করে এবং বিটা-ক্যারোটিন সহজেই শোষিত হয়।

গাজর টুকরো টুকরো করে কেটে বা ভর্তা বানানো যায়।

রান্না করা গাজর স্বাস্থ্যকর, তবে এর অর্থ এই নয় যে সেগুলি কাঁচা খাওয়া যাবে না। গাজরের তাদের উপকারিতা রয়েছে যা যেকোনো আকারে পাওয়া যেতে পারে।

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে-১ এবং পটাশিয়াম রয়েছে। ফাইবার পেট ভরা রাখে, পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনিতে পাথরের বিরুদ্ধে কাজ করে। হলুদ গাজরে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন থাকে, যা ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Post a Comment

1 Comments