টমেটো এমন একটি সবজি যা সবার রান্নাঘরে থাকে। যেকোনো রান্নায় টমেটো ব্যবহার করলে রান্নায় ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই টমেটো আপনাকে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা যেকোনো হৃদরোগ থেকে বাঁচাতে পারে।
টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম যা প্রথম আবিষ্কৃত হয় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়। তবে এখন সারা বিশ্বে এই টমেটো চাষ করা হলেও প্রতিটি দেশের আবহাওয়ায় টমেটোর প্রকৃতিও আলাদা।
যারা ওজন বাড়ার সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য টমেটো খুবই উপকারী। ডায়াবেটিসের জন্যও টমেটো খুবই উপকারী। এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রমাণিত হয়েছে যে এই টমেটো গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় এটি আমাদের রক্তচাপকে সঠিক মাত্রায় এবং কোলেস্টেরলকে সঠিক মাত্রায় রাখে।
টমেটো দাঁত ও হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। টমেটোতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে এবং সঠিক হাড় গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া দাঁত সুস্থ রাখতে টমেটো কার্যকরী।
টমেটো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। টমেটো আমাদের বিশেষ করে ফ্লু এবং সর্দি থেকে রক্ষা করে।
টমেটো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। নিয়মিত টমেটো খাওয়া আমাদের চোখের জন্য খুব ভালো। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে টমেটো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে, টমেটো চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো প্রধান ভূমিকা পালন করে। প্রতি সপ্তাহে 10 বা তার বেশি টমেটো খাওয়া এই সম্ভাবনাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
টমেটো হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
1. অ্যান্টি-ক্যান্সার
টমেটো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি প্রাকৃতিক উৎস যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি ঠেকাতে এই টমেটো খেতে পারেন।
2. হৃদয়কে শক্তিশালী করে
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে। হার্ট সুস্থ রাখতে টমেটো খাওয়ার বিকল্প নেই।
3. শরীরের হাড় মজবুত করে
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে এবং ভাঙা হাড় দ্রুত মেরামত করে।
4. রাতকানা রোগ নিরাময় করে
টমেটো প্রাপ্তবয়স্কদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চুলকানি নিরাময় করে।
5. চুল পড়া কমায়
টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন এ আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুল মজবুত করে।
6. কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া রোধ করে
যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের আজ থেকেই ডায়েটে টমেটো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ টমেটো কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
7. টমেটো ওজন কমায়
যারা স্থূলতা নিয়ে চিন্তিত তারা এই প্রাকৃতিক খাবারটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে টমেটো আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এবং শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয়।
8. বাতের ব্যথা উপশম করে
যারা গুরুতর বাতের ব্যথায় ভুগছেন তাদের খাদ্য হিসাবে টমেটো গ্রহণ করা উচিত কারণ এটি বাতের ব্যথাকে ব্যাপকভাবে উপশম করতে পারে।
9. প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর। তাই যাদের প্রোস্টেটের সমস্যা আছে তারা খাবারে উপযোগী উপাদান হিসেবে টমেটো রাখতে পারেন।
10. ত্বক সুরক্ষা.
টমেটো ক্ষতিকারক সূর্যের রশ্মি এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করতে পারে। আর আমরাও সুন্দর ত্বক পেতে পারি।
1 Comments
Sir post ta onek valo laglo
ReplyDelete