Advertisement

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ,বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম,সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ,জ্বালানি তেলের দাম ২০২২


 জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। শুক্রবার রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা বলা হয়। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জ্বালানি মন্ত্রণালয় গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেছে, জ্বালানির দাম অস্থিরতার কারণে সমন্বয় করা উচিত।

সয়া খাদ্য তেলের দাম দিন দিন বাড়ছে। অভিযোগ, সরকার খোলা অলিভ অয়েল ফিল্ডের গেটের দাম নির্ধারণ করলেও তা রাখছে না মালিকরা। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও। পাইকারির পাশাপাশি খুচরা বাজারেও দাম দ্রুত বাড়ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেটসহ অনেক মার্কেট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগে এই তেলের দাম ছিল ১১৭ থেকে ১২০ টাকা। আর খোলা তেল বিক্রি হয় ৯০-৯৫ টাকায়। কিন্তু গত সপ্তাহে ছিল ৮০-৮২ টাকা।

নিউমার্কেটের কিছু পাইকারী বিক্রেতা বলেছেন যে তারা মিলগেট থেকে যে দামটি কিনেছিলেন তার চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করছেন। তবে কারখানার গেটে তেল কেনার পর যাতায়াত সংক্রান্ত সমস্যার কারণে আরও ৪-৫ দিন তেল সেখানে পড়ে থাকে। এটি বাজারে তেলের দামকেও প্রভাবিত করে। পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়ার কথা স্বীকার করলেও খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন যে তারা নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করছেন।

মাহবুব ফারুক এই বাজারে পাইকারি ব্যবসা হোসেন স্টোরে নিয়মিত কেনাকাটা করেন। সে বলেছিল. “কয়েকদিনের মধ্যেই সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ২৫ টাকা হয়ে গেছে। যেখানে একবারে ৫ লিটার তেল কিনতাম, এখন কিনি ২ লিটার। তেল না খেয়ে বাঁচতে পারবেন না। প্রতিদিন এই দাম বাড়া দেখার কেউ কি নেই?

হোসেন স্টোরের বিক্রেতা আরিফ বলেন, পাইকারি বিক্রেতা ও তেল কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ায়। প্রতি বছর শীত এলেই দাম বেড়ে যায়। তবে এবার দাম বেড়েছে। সরবরাহ কমিয়ে বাজারে সংকট তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য। তারা বেশি লাভের জন্য দাম বাড়ায়। আমরা কত সমস্যা আছে? আমরা বেশি দামে কিনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. যদি আপনি বেশি দামে ক্রয় করেন তবে আপনাকে অবশ্যই বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। দাম বৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল। রাজধানীসহ সারাদেশ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।"

ভোজ্যতেলের এই মূল্যবৃদ্ধির চিত্র ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকায়ও পাওয়া যায়। টিসিবি জানায়, গত মাসে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ।

প্রশ্নে টিসিবি সভাপতির কার্যালয় থেকে হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববাজারে চাহিদা অনুযায়ী অপরিশোধিত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যা আছে তাও অনেক দামি। বর্তমানে প্রতি টন আমদানি করতে হচ্ছে ৪ থেকে ৪৫০০ ডলার বেশি দামে। এ কারণে তেলের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো।

এদিকে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। তিনি বলেন, "দেশে ব্যবসায়ীরা অন্যায়ভাবে রান্নার তেলের দাম বাড়িয়েছে। তেলের দাম যেন ৯০-৯১ টাকার বেশি না হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তেল ব্যবসায়ীদের কাছে এর কারণ কী জানতে চান তিনি। দামে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

Post a Comment

0 Comments