সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে।
এম এম কিট এর একটি প্যাকেটে মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। যেখানে একটি বড় ২০০ মি.গ্রা ট্যাবলেট রয়েছে যাকে বলা হয় মিফেপ্রিস্টোন এবং বাকি ৪ টি ছোট ছোট আকারের ট্যাবলেট রয়েছে যাকে মিসোপ্রোস্টল বলা হয়।
mm kit খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি যথাসম্ভব ডাক্তারের সামনে বসে খাবেন। তারপর ২৪ ঘন্টা পরে বাকি ৪ টি ছোট ছোট ট্যাবলেট বের করে জিহবার নিচে রেখে দিন। আধা ঘণ্টা এভাবে রাখতে হবে যেন ট্যাবলেট গুলো গলে পেটে যায়। ঐ সময় মুখে থুথু আসলে ও ফেলা যাবেনা। আধা ঘণ্টায় যদি ট্যাবলেট শেষ না হয় বা মুখে আটকে থাকে তাহলে পানি দিয়ে খেয়ে নিবেন।
এম এম কিট খাওয়ার পর যখন মাসিক হবে এবং তারপর পুরাপুরি সুস্থ হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকেই সহবাস করতে পারবেন । ব্লিডিং অবস্থায় ভুলে ও সহবাস করা যাবে না। এতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
এম এম কিট (MM-Kit) পিল হল পেটের বাচ্চা কে গর্ভপাতের জন্য খাওয়া হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে গর্ভবতী হয়ে গেলে তা গর্ভপাতের জন্য ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট খেতে হয়। তবে কথা হচ্ছে এম এম কিট কতবার খাওয়া যায়? এটা বলা মুশকিল। আসলে এই ঔষধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যার ফলে না খাওয়াই ভাল। ২-৩ বার এম এম কিট এর মাধ্যমে গর্ভপাত করালে পরবর্তী বাচ্চা জন্মদানে সমস্যা হতে পারে। তাই যথা সম্ভব না খাওয়া বা কম খাওয়াই উত্তম। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন ।
নরমেন্স সেবন করা যাবে না যে অবস্থায়
- গর্ভাবস্থা
- লিভারের সমস্যা থাকলে
- ডুবিন-জনসন সিনড্রোম
- রটার সিনড্রোম
- লিভারের টিউমার
- ইডিওপ্যাথিক জন্ডিসের গর্ভাবস্থায়
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- চোখে ঝাপসা দেখা
- বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যাথা
- স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি- মাইগ্রেন, শ্বাসযন্ত্র, বক্ষ এবং মধ্যস্থতামূলক ব্যাধি- ডিসপেনিয়া,
- ত্বক এবং উপসর্গীয় টিস্যু রোগ- অতি সংবেদনশীলতা (]
- আর্টিসেরিয়া
0 Comments